পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফু ওয়াং ফুডস কোম্পানিটি মালিকানা বদলের পরও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি এবং বর্তমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও পরিচালনা পর্ষদের দুর্নীতি এবং অর্থ আত্মসাতের কারণে কোম্পানিটি আজ সংকটে। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিয়া মামুন বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন।
২০০০ সালে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ফু ওয়াং ফুডস। পূর্ববর্তী ব্যবস্থাপনা এবং বোর্ডের অনিয়মের কারণে ২০০০ সালে জানুয়ারিতে জাপানি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মিনোরি বাংলাদেশ লিমিটেড ৭.৬১ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয় এবং মিয়া মামুন কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত হন। তবে বিএসইসি (বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন) মিনোরি বাংলাদেশকে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের নির্দেশ দেয়, কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি।
বর্তমানে মিয়া মামুন নিজে কোম্পানির দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন এবং ফু-ওয়াং ফুডসের ১ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। এটি ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচটি ব্যাংক লেনদেনের মাধ্যমে হয়েছে। আরও জানা যায় যে, নতুন এমডি যোগ দেওয়ার পর তিনি কোম্পানির তহবিল থেকে ২১ লাখ ২০ হাজার ৭৮২ টাকা ব্যয় করেন ব্যক্তিগত গাড়ি ভাড়ার জন্য, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক ছিল। এছাড়া, হলিডে প্ল্যানার নামে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২৩ সালে ৯টি চেকের মাধ্যমে ২১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা খরচ করা হয়, যা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অনুমোদন ছাড়া।
এ অভিযোগের পর, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফু ওয়াং ফুডস বর্তমানে উৎপাদন বন্ধ হওয়ার পথে এবং সম্প্রতি তাদের শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশও প্রদান করা হয়নি।